অনেক দিন পর বন্ধুরা এক হলে যা হয়। গল্পে গল্পে কখন যে রাত হয়ে গেল অবিনাশ সেটা খেয়ালই করেনি। যখন ঘড়ির দিকে নজর পড়লো তখন প্রায় বারোটা বাজতে চলেছে। অবিনাশ খাবারের প্লেটটা নামিয়ে রেখে বিজন এর সামনে এসে দাড়ালো।
“ আমি এবার বেরোই বুঝলি। না হলে বড্ড দেরি হয়ে যাবে বাড়ি পৌঁছাতে”।
“আরে, এত তাড়াহুড়ো করার কি আছে। এখন তো ট্যাক্সি হাতের মুঠোয় থাকে। রাত বা দিন আমারা স্বাধীন। আর একটু থেকে যা । কত দিন বাদে আমরা এক সাথে হলাম বলতো”।
বিজনের স্ত্রী রান্নাঘর থেকে জানান দিলো,
“আহা বুঝছো না, বেরোনোর সময় রমলা বৌদি সময় বেঁধে দিয়েছেন যে। থাকবেন কি করে”।
সবার সাথে অবিনাশ ও জোরে হেসে উঠলো।
“আপনি পারেন ও বৌদি। কিন্তু সত্যিই এবার আমায় যে উঠতে হবে”।
সবার কাছ থেকে বিদায় চেয়ে বেরোতে বেরোতে তাও সাড়ে বারোটা বেজে গেল অবিনাশ এর।
রাস্তা ঘাট একেবারে সুনসান। ডিসেম্বর মাসের কলকাতা শহর যে এত ফাঁকা হবে সেটা অবিনাশ ভাবেনি। তিনটে ওলা ট্যাক্সি নিজে থেকে ক্যান্সেল হওয়ার পর অবিনাশ ভাবলো একটু এগিয়ে গিয়ে সামনের মোড়ে গেলে হয়তো ট্যাক্সিটা পাওয়া যাবে।
কিন্তু আজ তার ভাগ্য বিরূপ। না মোড়ের মাথায় কোনো ট্যাক্সি আছে না কোনো লোক। শুধু পান সিগারেটের গুমটিটা একটু আলো ছড়াচ্ছে।
বেরোনোর আগেও বিজন বলছিল থেকে যেতে আজকের রাতটা ওদের ওখানে। অবিনাশের মনে হচ্ছে ওদের কথা শুনলেই ভাল হতো। জেদ ধরে এত রাতে একা না বেরোলেই হত।
অবিনাশ সিগারেট এর দোকানে সামনে গিয়ে দাঁড়ালো,
“দাদা, একটা গোল্ডফ্লেক দেবেন তো”।
অবিনাশ সিগারেটটা নিয়ে পাশে ঝোলা নারকেলের দড়িতে লেগে থাকা আগুনের এগিয়ে গেলো। তারপর একটা লম্বা টান দিলো।
“বলছি দাদা, এখানে ট্যাক্সি কোথা থেকে পাবো একটু বলতে পারেন”।
দোকানিটা একমনে তামাক পাতা কাটছিল, সেটা বন্ধ করে অবাক চোখে অবিনাশের দিকে তাকালো।
“ট্যাক্সি? সে আপনি এখন কোথায় পাবেন বাবু। আজকে মাঝ রাত থেকে তো সব টাক্সিওলারা তো ধর্মঘট ডেকেছে। পেট্রোল এর দাম বেড়েছে কিন্তু ভাড়া বাড়েনি বলে। আপনি জানতেন না কিছু”?
বিদ্যুৎ এর চমক এর মত অবিনাশ এর মনে পড়লো। তাই তো? কদিন ধরে কাগজে টিভিতে খুব আসছিল। অবিনাশ এর মনেও ছিল কিন্তু রাত বারোটার পর যে দিনটা বদলে গেছে সেটা মাথা থেকে বেমালুম উড়ে গেছিলো তাঁর।
“তাহলে এখন কি উপায়? আমাকে তো সেই টালা ট্যাংকের কাছে ফিরতে হবে”।
“দেখুন বাবু। এখান থেকে আপনি যে কিছু পাবেন না সেটা আমি নিশ্চিত। কিন্তু দুটো বাস স্টপ এর পরে একটা বড় মাছের বাজার আছে। ওখানে রাতেও অনেক গাড়ি যাতায়াত করে । তাদের কাউকে ধরেই না হয় আপনি চলে যাবেন।“
“যাক বাঁচালেন আপনি। ভারী চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। কোনদিক দিয়ে যাবো সেটাও যদি একটু বলে দিতে পারেন।“
“এই মেন রাস্তা ধরে গেলেও আপনি পৌঁছে যাবেন কিন্তু প্রায় চল্লিশ মিনিট সময় লেগে যাবে হেঁটে যেতে। আর একটা রাস্তা আছে ঠিকই”।
দোকানি কথাটা হটাৎই থেমে গেলো। কিছুটা আপন মনের ভুলে একটা পান পাতায় চুন লাগাতে থাকলো সে।
“কি হলো দাদা থামলেন কেন বলুন”।
“না মানে, আর একটা রাস্তা আছে। সময়ও প্রায় অর্ধেক লাগবে তাতে কিন্তু রাতে বিশেষ কেউ একটা ওই রাস্তা দিয়ে যায় না”।
“কেন?”
“আসলে রাস্তাটা একটা খ্রিস্টান কবরখানার মাঝখান দিয়ে গেছে। আমি বলি কি বাবু, আপনি মেন রাস্তা দিয়েই যান। এত রাতে ওই রাস্তা না নেওয়াই ভালো”
অবিনাশ এত জোরে হেসে উঠলো যে উল্টো দিকের পাঁচিল বসা একটা বেড়াল ভয় চিৎকার করে লাফ দিয়ে পালালো।
অবিনাশ এর ছোটবেলা থেকেই ডাকাবুকো বলে নাম আছে। ভয় জিনিষটা তাকে ঠিক কাবু করতে পারেনা। কলেজ জীবনে এই বিজনের সাথেই বাজি লাগিয়ে ওদের গ্রামের শশ্মানে রাত কাটিয়ে এসেছে সে। আর এই সামান্য রাস্তাটা সে যেতে পারবে না।
হাতের সিগারেটটাতে শেষ একটা টান দিয়ে অবিনাশ সেটা ছুঁড়ে ফেলে দিলো।
“আপনি সে সব ভাববেন না । ও আমি ঠিক চলে যাবো। আপনি রাস্তাটা শুধু দেখিয়ে দিন”।
“ঠিক আছে আপনি যখন বলছেন তখন শুনুন। ওই সামনের মোড় থেকে একটা ছোট পায়ে চলা রাস্তা বাঁদিকে বেঁকে গেছে। ওটা ধরে পাঁচ মিনিট চললেই কবরস্থান। ওটা পার হলেই মাছের বাজার। তবে আর একবার ভেবে দেখুন বাবু। ওই রাস্তায় এত রাতে সচরাচর কেউ
যায় না”।
অবিনাশ কিছু না বলে একটু মুচকি হেসে চলা শুরু করল।
মেন রাস্তা থেকে বেরোনোর পর অবিনাশ বুঝলো ঝোঁকের মাথায় এই রাস্তায় না এলেই হতো। না কবরস্থান বলে নয়। রাস্তাটা একেবারেই ঘুটঘুটে অন্ধকার। সঙ্গে কোনো টর্চ ও নেই। আজকাল এসব নিয়ে পথে নামার অভ্যাস একেবারেই চলে গেছে মানুষের। কিছুটা চলার পর অবিনাশের চোখ কিছুটা হলেও অন্ধকারের সাথে মানিয়ে নিলো। আবছা আবছা একটা দৃশ্য এখন সে দেখতে পাচ্ছে।
অবিনাশ কোনো দিকে না তাকিয়ে হন হন করে সোজা চলতে থাকলো। কৃষ্ণপক্ষের একফালি চাঁদ হঠাৎই চারিদিক আলো করে মাঝ আকাশে উদয় হলো।
অবিনাশ চারিদিকে তাকিয়ে দেখল সে সেই কবরস্থানের সামনে দাঁড়িয়ে। চারিদিকে সমাধির ঢের। কোনটা বা একেবারেই জরাজীর্ণ বা কোনোটাই একেবারেই নতুন। দু ধারে সমাধির লাইন রেখে রাস্তাটা এঁকে বেঁকে সামনে চলে গেছে।
অবিনাশ একটা লম্বা নিঃস্বাস নিয়ে ভাবলো, আর এই টুকু রাস্তা পার হলেই কেল্লা ফতে। বাকি রাতটা একটু আরামে ঘুমানো যাবে। আর ভাবমাত্রাই তার হাঁটার জোর বেড়ে গেলো।
কিন্তু কিছুটা এগোনোর পরই একটা শব্দ যেন ছিটকে এলো তার কাছে।
ঠং
এই সুনসান রাতে এরকম জায়গায় এই আওয়াজ কোথা থেকে আসবে। অবিনাশ একটু থমকে দাঁড়ালো। কিন্তু সব আবার একদম নিঝুম আগের মতো। সে ভাবলো হয়তো এটা তার মনের ভুল। সে আবার যাওয়ার জন্য যেই পা বাড়ালো।
ঠং
কি আশ্চর্য, এটাতো মনের ভুল নয়। কেউ যেন জোরে পাথরের ওপর হাতুড়ি দিয়ে বাড়ি মারলো। অবিনাশ এটা বুঝতে পারছে না এই অন্ধকারে আওয়াজটা আসছে কোথা থেকে। আর কেই বা এত রাতে এই নির্জন জায়গায় এমন আওয়াজ করবে? এই সাত পাঁচ ভেবে অবিনাশ একটু থমকে গেল। কিন্তু আবার সব কিছু শান্ত। সে একবার ভাবলো যে, যাই এগিয়ে দেখি কেন এরকম আওয়াজ হচ্ছে। তারপর ভাবলো না দরকার নেই। যে পথে চলছিল সেই পথেই হাঁটা ভালো।
অবিনাশ সেই মতো এগোতে থাকলো। এক টুকরো কালো মেঘ এসে হটাৎ এক ফালি চাঁদটাকেও ঢেকে দিলো। আবার সেই নিশ্ছিদ্র অন্ধকার চারিদিকে। অবিনাশ কিছুটা আন্দাজের উপর নির্ভর করেই হাঁটতে থাকলো।
ঠং ঠং ঠং
না এবার আরও স্পষ্ট আর আরো কাছ থেকে যেন এলো শব্দটা। ভয় জিনিসটা অবিনাশ এর কমই আছে কিন্তু অতিরিক্ত যেটা আছে সেটা হলো কৌতূহল। না এর এবার শেষ দেখে ছাড়তে হবে, ভাবলো অবিনাশ।
ঠং ঠং ঠং
এবার শব্দকে লক্ষ্য করেই অবিনাশ হাঁটা শুরু করলো। রাস্তা বলে আর কিছু বিশেষ বেঁচে নেই। ঝোপঝাড় মাড়িয়ে আর ভাঙা সমাধিকে বাঁচিয়ে অবিনাশ একটা খোলা জায়গায় এসে পড়লো। জায়গাটা কবরস্থানের প্রায় কেন্দ্র বিন্দু বলা যায়। চারিদিকে সমাধির ফলকে ফলকে ঘেরা হয়ে আছে। যেন তারা জীবন্ত, আর একে অপরের হাত ধরে গোল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
ঠং
অবিনাশ এবার শব্দের উৎসের দিকে তাকাতেই দেখতে পেলো, বেশ কিছুটা দূরে একটা নতুন সমাধির পাশে একটা হালকা আলোর রেখা। অবিনাশ এখন নিশ্চিত শব্দটা ওখান থেকেই আসছে । অবিনাশ একটা অদ্ভূত দোটানায় দুলছে। অস্বীকার করে লাভ নেই যে এই প্রথমবার তার একটু হলেও ভয় করছে। এরকম পরিস্থিতিতে সে আগে কখনো পড়েনি। কিন্তু কৌতূহল ও তার ভীষণ হচ্ছে ।
অবিনাশের কৌতূহল এরই জয় হলো। সে একটু একটু করে ওই আলোর দিকে এগিয়ে গেলো।
খানিকটা এগিয়ে আসার পর অবিনাশ দেখলো আলো শুধু নয় তার একজন মালিক ও আছে। দোহারা চেহারা। মাথায় এক রাশ কাঁচাপাকা চুল। মুখে বেশ কিছুদিনের না কাটা দাড়ি। গায়ে একটা পুরোনো রোঁয়া ওঠা ধূসর রঙের ফুলহাতা সোয়েটার। লোকটা এবার অবিনাশের পায়ের শব্দে মুখ তুলে তাকালো। একটা শীতল দৃষ্টি।
কেন জানিনা অবিনাশের বুকটা ধড়াস ধরাস করতে থাকলো জোরে জোরে। তবু বেশ খানিকটা শক্তি সঞ্চয় করে সে বললো,
“আপনি কে? আর এত রাতে এখানে কি করছেন?”
লোকটার মুখে একটা তেরচা হাসি ফুটে উঠলো।
“ এ প্রশ্ন তো আমার আপনাকেও করা উচিত নয় কি সাহেব?”
অবিনাশ একটু ইতস্ততঃ করে বললো,
“আমি ট্যাক্সি না পেয়ে এই রাস্তা দিয়ে বাজারে কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু আপনি?”
লোকটি এবার একগাল হেসে বললো,
“আজ্ঞে, আমি নরহরি, এই কবরস্থানের দেখাশোনা করি”।
অবিনাশের যেন ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়লো। উফ কি ভয়টাই না সে মিছি মিছি পেয়েছিলো। এত সহজ সমাধানটা তার মাথাতেই আসেনি। সত্যিই তো এত রাতে কেয়ারটেকার ছাড়া কেই বা এখানে থাকবে।
মনটা হালকা হওয়াতে অবিনাশ এবার চারপাশটা একটু খুঁটিয়ে দেখতে থাকলো। একটা মাথা চাপা ছোট লন্ঠন। একটা ছেনি আর বেশ বড় একটা হাতুড়ি লোকটার পাশে পরে আছে। সে মনে মনে ভাবলো যে যাক শব্দ রহস্যও ভেদ হলো । তার মুখে একটা বেশ তৃপ্তির ভাব জেগে উঠলো। তা দেখে কিনা বোঝা গেল না তবে লোকটি বললো,
“সাহেব আপনি তো প্রায় চলে এসেছেন ওই ডান দিকের রাস্তাটা নিয়ে মিনিট দশ হাঁটলেই আপনার বাজার এসে যাবে।“
একটা প্রশ্ন এখনো অবিনাশ কে পুরোপুরি স্বস্তি দিচ্ছে না। লোকটা এত রাতে অন্ধকারে কেন এইসব কাজ করছে। কোনো খারাপ উদ্দেশ্য নেই তো।
লোকটার মুখের দিকে অবিনাশ একটু খুঁটিয়ে তাকালো।
“আচ্ছা , আপনার এখানে একা একা এত রাতে এখানে থাকতে ভয় লাগে না?”
“সত্যি কথা বলতে কি সাহেব, লাগতো , বেশ কিছুদিন আগে অবধিও বেশ লাগতো। কিন্তু কি জানেন তো, পেটের জ্বালার কাছে সব ভয়ই কম পরে যায়। আর থাকতে থাকতে এই জায়গাটার উপর মায়াও পরে গেল তাই এখন আর ভয় লাগে না”।
“ তা আপনি এত রাতে ছেনি হাতুড়ি নিয়ে এই অন্ধকারে কেন কাজ করছেন?”
অবিনাশ আর এই প্রশ্নটা চেপে রাখতে পারলোনা।
“আর বলবেন না মশাই, এই সমাধি ফলকে নামটাই ভুল লিখে গেছে। আজকালকার ছেলে ছোকরাদের এত দায়সারা কাজে, কি আর বলবো। তাই নিজেই হাত লাগিয়েছি”।
অবিনাশ একটু ঝুঁকে দেখার চেষ্টা করলো কি লেখা আছে। আবছা আলোয় সে দেখলো লেখা আছে,
M.N. Discuza
2019
“তো কি ভুল আছে এতে?”
“আজ্ঞে, ওটা N.M. Discuza হবে।“
“কি আশ্চর্য, এত সমাধির ভিড়ে আপনি বুঝলেন কি করে যে এই সমাধিতার নামে ভুল আছে। আপনার পর্যবেক্ষণ আর স্মরণশক্তি সত্যিই অসাধারণ বলতে হবে”।
লোকটা একটা কান এঁটো করা হাসি হেসে বললো,
“ না না, সেরকম কোনো ক্ষমতা আমার নেই। আর বাকি সব সমাধির ঠিক ভুল ওতো আমি সঠিক ভাবে জানিও না। তবে এটার জানি তাই ঠিক করার চেষ্টা করছি”।
“ওহহ। তাহলে এটা আপনার পরিচিত কারুর সমাধি?”
“আজ্ঞে, পরিচিত কেন হাতে যাবে এটা তো আমার নিজেরই”।
অবিনাশ খুব জোরে চমকে উঠলো,
“মানে? এ সব কি রসিকতা করছেন এত রাতে”।
“ কি মুশকিল, আমি রসিকতা কেন করতে যাবো। আরে মশাই আমি হলাম নরহরি মাইকেল ডিসুজা। এখানকার পরলোকগত শেষ কেয়ারটেকার। তখন থেকে তো এই নামের ভুলটাই তো ঠিক করার চেষ্টা করছি । এত গুলো বছর এখানে কাজ করে এইটুকুও কি আমার প্রাপ্য নয় বলুন?”
অবিনাশ আর কোনো জবাব দেওয়ার অবস্তায় আর নেই। তাকে যেন বোবায় ধরেছে। অবশ হয়ে গেছে হাত পা। চাইলেও যেন সেখান থেকে নড়তে পারছেনা সে।
নরহরি অবাক চোখে অবিনাশের দিকে তাকালো,
“যাহ বাবা, আপনি তো দেখছি ভয় পেয়ে গেছেন। এতে ভয় পাওয়ার কি আছে তো বুঝলাম না। যাকগে আপনার সাথে কথা বলতে বলতে আমার কাজটাই শেষ করা হলো না”।
নরহরি সোয়েটারের ভিতর থেকে হাত দুটো বের করে হাতুড়ি আর ছেনিটা তুলে কাজ শুরু করলো।
অবিনাশ ওই অল্প আলোতেও খুব পরিষ্কার দেখতে পেলো ওই হাত দুটোতে কোনো মাংসের কোনো চিহ্ন নেই। শুধুই সাদা হাড়। আর একটা ঝিম ধরানো শব্দ।
ঠং ঠং ঠং ঠং।
অবিনাশের এরপর আর কিছু মনে নেই।
পরের দিন সকালে একদল প্রাতঃভ্রমনকারী অবিনাশ কে ওই সমাধির পাশে অজ্ঞান অবস্থায় পায়।
1 Comment